মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০১১

যে উচ্চারণ শক্তি দেয়(এস.এম.জাকির হুসাইন))

হে প্রভু! হঠাত্‍--
আমি যেন হঠাত্‍ সঠিক ফাঁদে পা ফেলি
বুদ্ধিমানের মতো
এবং সফলতা আমাকে যেন
আঁকড়ে ধরে।
হে প্রভু! হে মৃত্যুর স্রষ্টা!
আমি যতদিন হাসিমুখে মরতে না শিখছি
ততদিন তুমি আমাকে মৃত্যু দিয়ো না।
হে প্রভু!তুমি আমাকে সেই প্রার্থনা শেখাও
যা তুমি কবুল ক'রে থাক!
হে আল্লাহ!আমি যা যা চাই
তার কিছুই তুমি যদি আমাকে দিতে না চাও
তাহলে তাই হোক।
তবে আমার যা যা আছে
আমি তার সবই তোমাকে দিয়ে দিলাম।
তুমি তা গ্রহণ কর।
হে আমার প্রতিপালক!
আমি তোমার কাছ থেকে যতটুকু নিতে পারি
তারও বেশি যেন তোমাকে দিতে পারি
এই যোগ্যতা তুমি আমাকে দান কর।
হে আলোর উত্‍স!
তুমি আমার চোখের মধ্যে
এমন আলো দান কর
যেন আমি কোথাও অন্ধকার না দেখি।
হে আমার এবং আমার পরিবারের স্রষ্টা!
তুমি আমাকে আমার পরিবারের জন্য
রহমতস্বরূপ ক'রে দাও।
হে আমার এবং আমার আত্মীয়-স্বজনদের স্রষ্টা!
তুমি আমাকে আমার আত্মীয়-স্বজনদের জন্য রহমত স্বরূপ ক'রে দাও।
হে আমার এবং আমার দেশবাসীর স্রষ্টা!
তুমি আমাকে আমার দেশবাসীর জন্য
রহমতস্বরূপ ক'রে দাও।
হে আমার এবং আমার পৃথিবীবাসীর স্রষ্টা!
তুমি আমাকে গোটা পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীকুলের জন্য
রহমতস্বরূপ ক'রে দাও।
হে দৃশ্য-অদৃশ্য জগতের স্রষ্টা!
তুমি আমাকে গোটা বিশ্বজগতের জন্য
রহমতস্বরূপ ক'রে দাও।
হে পথপ্রদর্শক!
তুমি আমাকে আমার ওপর ছেড়ে দিয়ো না।
তুমি আমাকে তোমার আলোয় অন্ধ ক'রে দিয়ে
নিজেই পথ দেখিয়ে নিয়ে যাও।
হে রহমানীর রহীম!পরম দয়াময়!
আমি তোমার দয়া চাই।
অথচ নিজে অন্যের প্রতি দয়া দেখাই না।
তাহলে আমি কিভাবে তোমার দয়া পাব?
সুতরাং তুমি আমাকে দয়ালু ক'রে দাও।
ইয়া কাহ্হার!হে কঠোর!
আমি যেন ভুলে না যাই যে
তুমি শাস্তিদানে কঠোর।
তাই তোমার মতো আমিও কঠোর হতে চাই।
যতক্ষণ তোমার কঠোরতার কথা
আমার মনে পড়ে
ততক্ষণ আমিও যেন কঠোর থাকি...
আমার নফ্সের প্রতি।
হে ওয়াদুদ্!হে বন্ধু!
আমি যখন অনেকের মধ্যে থাকি,
তখন তুমি আমাকে একা ক'রে দাও।
এবং আমি যখন একা থাকি
তখন যেন ভুলে না যাই যে
তুমি আমার সাথে আছ।
হে আল্লাহ!
আমি তোমাকে সর্বদা ভুলে থাকলেও
আমার কোনো আপত্তি নেই।
শুধু এটুকু যেন আমি কখনও
ভুলে না যাই যে--
আমার হৃদপিণ্ডের তসবিতে
ঘুমন্ত আবস্থায়ও তোমার নাম জপ চলছে।
হে মহাস্রষ্টা!সর্বদ্রষ্টা!
আমি তোমাকে দেখতে না পেলেও
একথা যেন কখনো ভুলে না যাই যে
তুমি আমার চোখের মধ্যে দিয়ে
তাকিয়ে আছ।
হে সর্বশ্রোতা!আমি তোমার কথা শুনতে না পেলেও
আমি যেন ভুলে না যাই যে
আমার কথা আর কেউ না শুনুক
অন্তত আমি নিজেই তা শুনছি।
এবং ফলে
তুমিও তা শুনছ।
হে প্রভু!
হে চিরজাগ্রত!
আমি যখন ঘুমাই
তখন এটুকু যেন স্মরণ যে
আমার হৃদপিণ্ডটা জেগে আছে।
এবং তার মধ্যে জেগে আছ তুমি--একা!
হে চিরপবিত্র!
আমি কাইকে লজ্জা না পেলেও
যেন নিজের কাছে নিজে লজ্জিত থাকি!
হে রাজাধিরাজ!
আমি যা কিছু পাই--
তা যেন অনেক সাধনা,অপেক্ষা,ও
কান্নাকাটির বিনিময়ে পাই:
যেন আমি স্পষ্টভাবে জানতে পারি যে
তোমার কাছ থেকে বিনীতভাবে ভিক্ষা নিচ্ছি।
এবং আমি যখন তোমাকে কিছু দিতে চাই
তখন যেন অঢেল দিতে পারি।
রাজাকে সামান্য দেয়া কি সম্ভব?
হে প্রেমিক!
আমি যেন তোমাকে নিঃশর্তভাবে
ভালবাসতে পারি--এক-তরফা ভালোবাসা।
প্রকৃত প্রেম তো এক তরফাই হয়,নয় কি?
হে আমার প্রেম!
তুমি আমাকে কথা দিয়েও
হঠাত্‍ ক'রে আমার কাছে এস না,
একটু দেরিতে এস।
যেন আমি তোমার জন্য
মধুর অপেক্ষার সুযোগটুকু পাই।
হে পরমবন্ধু!
পৃথিবীর সবাই যখন আমাকে
একাকী ফেলে চ'লে যাবে--
আমাকে আর একা ফেলে রাখতে
তোমার যেন মন না চায়।
পৃথিবীর সবাই আমাকে যতটুকু কষ্ট দিলে
আমার প্রতি তোমার দয়া উপচে পড়বে
আমার জন্য ততটুকু কষ্টের ব্যবস্থা ক'রে দাও।
হে বাণীর স্রষ্টা!
আমাকে এমন বাণী দান কর
যা ভাষা ছাড়াই অর্থবহ হবে।
হে সুখের উত্‍স!
আমাকে এমন সুখ দান কর
যা আমি বিনামূল্যে বিলাতে পারি।
হে তওবা গ্রহণকারী!
আমাকে এমন চেতনা দান কর যে
আমি যেন নতুন নতুন পাপ ছাড়াই
নতুন নতুন তওবা করতে পারি।
হে দুঃখের বিধাতা!
আমি যেন আনন্দের সময়ে
বোকা না হয়ে যাই।
হে রোগের স্রষ্টা!
আমার দেহের রোগ যেন
আমার মনের রোগকে নিরাময় ক'রে দেয়।
এবং আমার মন রোগগ্রস্ত হতে থাকলে যেন
দেহটা দুর্বল হয়ে যেতে থাকে,
যেন আমি অধিক পাপ না করতে পারি।

1 টি মন্তব্য:

  1. স্যার, আপনাকে ধন্যবাদ দেয়ার মতো দু:সাহস আমি করতে পারিনে। কারণ ধন্যবাদ দিতে ও একটা নৃন্যতম যোগ্যতা লাগে তা আমার কাছে না আছে এটা আমি নিশ্চিত। তা্র কারণে সাহস করতে পারিনে। আমি গর্বিত! একারণে যে, আমি দুর হতে আপনার পুসতকী ছাত্র হতে পেরেছি। আমি যে আপনার লেখাতে অমৃতের সন্ধান পেয়েছি। তা আমার না চাতে পাওয়া। সে আপনার দানের দান। মাহবুব-ককসবাজার।

    উত্তরমুছুন