মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০১১

যে উচ্চারণ শক্তি দেয়(এস.এম.জাকির হুসাইন))

হে প্রভু! হঠাত্‍--
আমি যেন হঠাত্‍ সঠিক ফাঁদে পা ফেলি
বুদ্ধিমানের মতো
এবং সফলতা আমাকে যেন
আঁকড়ে ধরে।
হে প্রভু! হে মৃত্যুর স্রষ্টা!
আমি যতদিন হাসিমুখে মরতে না শিখছি
ততদিন তুমি আমাকে মৃত্যু দিয়ো না।
হে প্রভু!তুমি আমাকে সেই প্রার্থনা শেখাও
যা তুমি কবুল ক'রে থাক!
হে আল্লাহ!আমি যা যা চাই
তার কিছুই তুমি যদি আমাকে দিতে না চাও
তাহলে তাই হোক।
তবে আমার যা যা আছে
আমি তার সবই তোমাকে দিয়ে দিলাম।
তুমি তা গ্রহণ কর।
হে আমার প্রতিপালক!
আমি তোমার কাছ থেকে যতটুকু নিতে পারি
তারও বেশি যেন তোমাকে দিতে পারি
এই যোগ্যতা তুমি আমাকে দান কর।
হে আলোর উত্‍স!
তুমি আমার চোখের মধ্যে
এমন আলো দান কর
যেন আমি কোথাও অন্ধকার না দেখি।
হে আমার এবং আমার পরিবারের স্রষ্টা!
তুমি আমাকে আমার পরিবারের জন্য
রহমতস্বরূপ ক'রে দাও।
হে আমার এবং আমার আত্মীয়-স্বজনদের স্রষ্টা!
তুমি আমাকে আমার আত্মীয়-স্বজনদের জন্য রহমত স্বরূপ ক'রে দাও।
হে আমার এবং আমার দেশবাসীর স্রষ্টা!
তুমি আমাকে আমার দেশবাসীর জন্য
রহমতস্বরূপ ক'রে দাও।
হে আমার এবং আমার পৃথিবীবাসীর স্রষ্টা!
তুমি আমাকে গোটা পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীকুলের জন্য
রহমতস্বরূপ ক'রে দাও।
হে দৃশ্য-অদৃশ্য জগতের স্রষ্টা!
তুমি আমাকে গোটা বিশ্বজগতের জন্য
রহমতস্বরূপ ক'রে দাও।
হে পথপ্রদর্শক!
তুমি আমাকে আমার ওপর ছেড়ে দিয়ো না।
তুমি আমাকে তোমার আলোয় অন্ধ ক'রে দিয়ে
নিজেই পথ দেখিয়ে নিয়ে যাও।
হে রহমানীর রহীম!পরম দয়াময়!
আমি তোমার দয়া চাই।
অথচ নিজে অন্যের প্রতি দয়া দেখাই না।
তাহলে আমি কিভাবে তোমার দয়া পাব?
সুতরাং তুমি আমাকে দয়ালু ক'রে দাও।
ইয়া কাহ্হার!হে কঠোর!
আমি যেন ভুলে না যাই যে
তুমি শাস্তিদানে কঠোর।
তাই তোমার মতো আমিও কঠোর হতে চাই।
যতক্ষণ তোমার কঠোরতার কথা
আমার মনে পড়ে
ততক্ষণ আমিও যেন কঠোর থাকি...
আমার নফ্সের প্রতি।
হে ওয়াদুদ্!হে বন্ধু!
আমি যখন অনেকের মধ্যে থাকি,
তখন তুমি আমাকে একা ক'রে দাও।
এবং আমি যখন একা থাকি
তখন যেন ভুলে না যাই যে
তুমি আমার সাথে আছ।
হে আল্লাহ!
আমি তোমাকে সর্বদা ভুলে থাকলেও
আমার কোনো আপত্তি নেই।
শুধু এটুকু যেন আমি কখনও
ভুলে না যাই যে--
আমার হৃদপিণ্ডের তসবিতে
ঘুমন্ত আবস্থায়ও তোমার নাম জপ চলছে।
হে মহাস্রষ্টা!সর্বদ্রষ্টা!
আমি তোমাকে দেখতে না পেলেও
একথা যেন কখনো ভুলে না যাই যে
তুমি আমার চোখের মধ্যে দিয়ে
তাকিয়ে আছ।
হে সর্বশ্রোতা!আমি তোমার কথা শুনতে না পেলেও
আমি যেন ভুলে না যাই যে
আমার কথা আর কেউ না শুনুক
অন্তত আমি নিজেই তা শুনছি।
এবং ফলে
তুমিও তা শুনছ।
হে প্রভু!
হে চিরজাগ্রত!
আমি যখন ঘুমাই
তখন এটুকু যেন স্মরণ যে
আমার হৃদপিণ্ডটা জেগে আছে।
এবং তার মধ্যে জেগে আছ তুমি--একা!
হে চিরপবিত্র!
আমি কাইকে লজ্জা না পেলেও
যেন নিজের কাছে নিজে লজ্জিত থাকি!
হে রাজাধিরাজ!
আমি যা কিছু পাই--
তা যেন অনেক সাধনা,অপেক্ষা,ও
কান্নাকাটির বিনিময়ে পাই:
যেন আমি স্পষ্টভাবে জানতে পারি যে
তোমার কাছ থেকে বিনীতভাবে ভিক্ষা নিচ্ছি।
এবং আমি যখন তোমাকে কিছু দিতে চাই
তখন যেন অঢেল দিতে পারি।
রাজাকে সামান্য দেয়া কি সম্ভব?
হে প্রেমিক!
আমি যেন তোমাকে নিঃশর্তভাবে
ভালবাসতে পারি--এক-তরফা ভালোবাসা।
প্রকৃত প্রেম তো এক তরফাই হয়,নয় কি?
হে আমার প্রেম!
তুমি আমাকে কথা দিয়েও
হঠাত্‍ ক'রে আমার কাছে এস না,
একটু দেরিতে এস।
যেন আমি তোমার জন্য
মধুর অপেক্ষার সুযোগটুকু পাই।
হে পরমবন্ধু!
পৃথিবীর সবাই যখন আমাকে
একাকী ফেলে চ'লে যাবে--
আমাকে আর একা ফেলে রাখতে
তোমার যেন মন না চায়।
পৃথিবীর সবাই আমাকে যতটুকু কষ্ট দিলে
আমার প্রতি তোমার দয়া উপচে পড়বে
আমার জন্য ততটুকু কষ্টের ব্যবস্থা ক'রে দাও।
হে বাণীর স্রষ্টা!
আমাকে এমন বাণী দান কর
যা ভাষা ছাড়াই অর্থবহ হবে।
হে সুখের উত্‍স!
আমাকে এমন সুখ দান কর
যা আমি বিনামূল্যে বিলাতে পারি।
হে তওবা গ্রহণকারী!
আমাকে এমন চেতনা দান কর যে
আমি যেন নতুন নতুন পাপ ছাড়াই
নতুন নতুন তওবা করতে পারি।
হে দুঃখের বিধাতা!
আমি যেন আনন্দের সময়ে
বোকা না হয়ে যাই।
হে রোগের স্রষ্টা!
আমার দেহের রোগ যেন
আমার মনের রোগকে নিরাময় ক'রে দেয়।
এবং আমার মন রোগগ্রস্ত হতে থাকলে যেন
দেহটা দুর্বল হয়ে যেতে থাকে,
যেন আমি অধিক পাপ না করতে পারি।

শুক্রবার, ১৫ জুলাই, ২০১১

বিশ্লেষণী ধ্যান ৩(এস.এম.জাকির হুসাইন)

আমার যদি কোনো আক্ষেপ না থাকে
তাহলে তার অর্থ এই হয়ে যাবে যে
আমি যা কিছু করেছি
তা সর্বদাই সঠিক হয়েছে।
আমার এই বিশ্বাস এই কথার প্রতি ইঙ্গিত করে যে
আমি ধ'রে নিয়েছি যে
আমার মধ্যে এর চেয়ে বেশি বিকাশ ঘটতে পারত না
এবং আমি আমার কর্মকাণ্ডে
আরো বেশি সঠিক ও বিশুদ্ধ হতে পারতাম না।
আমার যদি মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে আক্ষেপ থাকে
তাহলে তার অর্থ এই হয়ে যাবে যে
আমি ইতিমধ্যেই যা ক'রে ফেলেছি
শুধুমাত্র সেটুকুই করতে পারতাম
এবং তার বেশি আমি কিছুই করতে পারতাম না
এবং ফলে আমার কাছে জীবন মানে হয়ে যেত শুধুই
একটি অতীত কাহিনী।
এবং তখন তার অর্থ হয়ে যেত
জীবনের পরিসমাপ্তি
এবং মৃত্যুর সূচনা,
যে সূচনা কখনই সমাপ্ত হয় না।
অতীতে রয়েছে শুধু
কিছু গল্প
এবং কল্পনা।
অতিমাত্রায় আক্ষেপ হলো
সেই কয়েদখানা
যা নির্মিত হয়েছে অতীত কালের কাহিনী দ্ধারা
এবং
আক্ষেপহীনতা হলো
নতুন উদ্যেগ এবং সম্ভাবনার মৃত্যুরই নামান্তর।
উভয় ক্ষেত্রেই
আক্ষেপ
যাবতীয় বিকাশকে
ব্যাহত ক'রে দেয়
যাবতীয় সম্ভাবনাকে
নস্যাত্‍ করে দেয়।
প্রথম ক্ষেত্রে
আক্ষেপ সৃজনশীল শক্তিকে নিঃশেষ ক'রে দেয়
যার ফলশ্রুতি হিসেবে প্রতিদিন
একই ধরনের দুঃখ উত্‍পাদিত হবে।
এবং দ্বিতীয় ক্ষেত্রে
মন নিজেই যাবতীয় সৃজনশীলতাকে এবং সম্ভাবনাকে
উপেক্ষা ক'রে যায়
যেমনটি উপেক্ষা ক'রে যায়
যে কোনো মৃতদেহকে।
যুদ্ধে হেরে-যাওয়া জীবন্ত মানুষ।
সুতরাং
আমার আক্ষেপ রয়েছে যে
আমি ভুল কিছু কাজ ক'রে ফেলেছি।
এবং আমি এই আক্ষেপকে ভালোবাসি।
আর এভাবেই আমি একই সঙ্গে খুশি এবং
আক্ষেপপূর্ণ।
আমি খুশি যে আমি এমন কিছু করেছি যা ছিল ভুল।
আমি যদি ইতিমধ্যেই ভুলটি বা ভুলগুলো ক'রে না ফেলতাম
তাহলে আমার মধ্যে ভুল করার তৃষ্ণা
রয়েই যেত
এবং ফলে আমি আরো বড় ভুল ক'রে ফেলতাম
বোকামির মূহূর্তগুলোতে।
আমার যদি আক্ষেপ না থাকত
আমি ভুল কাজ থেকে সঠিক কাজকে চিহ্নিত করতে পারতাম না।
তখন আমি এক কাজই বারবার করতে থাকতাম
শত শত বার।
সুতরাং আমি একই সঙ্গে সুখী এবং আক্ষেপপূর্ণ।
আমি যা কিছু করি না কেন,
তা আমাকে প্রতিদিন আরো জ্ঞানী ক'রে দেয়
কারণ তা আমাকে জ্ঞানার্জনের সুযোগ দেয়
কারণ আমি ভুল ক'রে থাকি।
আমার কোনো কাজই বিফলে যায় না।
তা হলো এই কারণে যে
যা ঘটে তা গুরুত্বপূর্ণ নয়
বরং যা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো,
যা ঘটেছে তা নিয়ে আমি কি ভাবছি।
আক্ষেপ হলো সেই আগুন
যার মধ্যে আমি পুড়ছি
পুড়ছে আমার অজ্ঞতা
এবং দুরভিসন্ধি
এবং না-বোধক প্রবনতা
এবং ধীরুজতা এবং
আহম্মকগিরি।
এবং আমার বিবেক।
এবং আমি তার তাপ উপভোগ করি
এবং আলোটিকে ব্যবহার ক'রে
সত্যের দিকে দৃষ্টিপাত করি।
আমার যতক্ষণ একটি আক্ষেপপূর্ণ হৃদয় রয়েছে,
ততক্ষণ ভবিষ্যতকে আদর ক'রে আমার কোনো লাভ নেই,
কারণ আমার পক্ষ থেকে কাজটি ক'রে দিচ্ছে আক্ষেপ নিজেই।
আমার যদি কোনো আক্ষেপ না থাকত
তাহলে আমার অতীত এবং ভবিষ্যত
আমার জন্যে একই ভাবে অর্থহীন এবং গুরুত্বহীন হয়ে যেত,
আমি কোনোভাবেই বর্তমানকে উপভোগ করতে পারতাম না।
কেবল আমার আক্ষেপের সহযোগীতাতেই আমি
বর্তমানে একশত ভাগ কর্মঠতা অনুভব করতে পারি।
যা ভবিষ্যতেও সক্রিয় থাকবে,
যেহেতু তা অতীতেই শুরু হয়েছিল।
আমার আক্ষেপ হলো এমন শক্তি যা
আমার অতীত এবং বর্তমান এবং ভবিষ্যতকে
একটি সমতলে এনে দাঁড় করিয়েছে।
অন্যের সঙ্গে আমার সম্পর্ক কেমন হবে
তা আমি তখনই নির্ধারণ করতে পারব
যখন আমার মনে আক্ষেপের উদয় ঘটবে।
সুতরাং অধিকাংশ লোকের আক্ষেপ যেখানে
হতাশার কারণ হয়
এবং মনঃকষ্টের কারণ হয়
সেখানে আমার ক্ষেত্রে তা হতে যাচ্ছে ভিন্ন রকমের।
আমার আক্ষেপ আমাকে
জ্ঞান দান করে
প্রজ্ঞা দান করে
এবং দান করে এক ধরনের সচেতনতা এবং অঙ্গীকার-
গোটা মানবজাতির প্রতি।
আমার আক্ষেপ আমার পর্দা খুলে দেয়-
আমার কানের
আমার চোখের
এবং আমার অন্তঃকরণের।
তা আমাকে স্পষ্ট দৃষ্টি দান করে।
তা আমাকে মসৃণভাবে চিন্তা করার শক্তি
দান করে
এবং দান করে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের যোগ্যতা।
আমার যদি আক্ষেপ না থাকত
তাহলে আমি আক্ষেপের অনুপস্থিতির জন্যে
আক্ষেপ করতাম।
কারণ তখন নতুন কিছু করার জন্যে আমার মধ্যে
কোনো স্পৃহা কাজ করত না।
কিন্তু আমি আশীর্বাদপুষ্ট হয়েছি যা
আমি আমার অতীতকে বিচার করতে পারি
এবং নিজের ভবিষ্যত সম্পর্কে পরিকল্পনা করতে পারি
এবং নিজের বর্তমানকে উপভোগ করতে পারি।

বুধবার, ১৩ জুলাই, ২০১১

সাদাকা(মহাজাতক)

#মমতা জড়িত সেবার নামই সাদাকা।
#আগে সালাম দেয়া,কুশল জিজ্ঞেস করা,হাসিমুখে সুন্দর কথা বলা,অন্যের সাফল্যলাভে শুভকামনা জানানো সাদাকা।
#পরিবারের ভরণপোষণ,মা-বাবার খেদমত,স্ত্রী/স্বামী-সন্তানের সাথে সুন্দর ব্যবহার সাদাকা।
#আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের সাহায্য-সহযোগিতা,এতিম-মিসকিন,বিধবা ও অসহায়ের লালন পালন করা সাদাকা।
#রোগীর সেবা ও তার জন্যে দোয়া করা,তাকে দেখতে যাওয়া;মুমূর্ষকে রক্তদান করা সাদাকা।
#প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ত্রান কাজ,প্রকাশ্যে বা গোপনে অর্থ দান,তৃষিতকে পানি পান করানো,ক্ষুধার্তকে খাওয়ানো সাদাকা।
#পথহারা মানুষকে পথ দেখানো।অন্ধ-শিশু-প্রবীণকে পথ চলতে ও অন্যান্য কাজে সহযোগিতা করা সাদাকা।
#পথ থেকে পথিকের জন্যে ক্ষতিকর প্রতিটি বস্তু(কাঁটা,ইট-পাথর,কাঁচের টুকরা ইত্যাদি)অপসারণ;পড়ে থাকা জলন্ত কিছুকে নেভানো সাদাকা।
#পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা,গাছ লাগানো সাদাকা।
#অধীনস্থদের সাথে মানবিক আচরণ করা সাদাকা।অন্ততপক্ষে নিজেরা যা খাবেন,তাদেরকেও তাই খাওয়ান।
#সমস্যা সমাধানে সত্‍ পরামর্শ দেয়া সাদাকা।ভালো কাজে উত্‍সাহিত করা এবং খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখতে সচেষ্ট হওয়া সাদাকা।
#অর্থনৈতিক বা সামাজিক পরিবেশের শিকার মজলুমকে সাহায্যে করা সাদাকা।
#ওজনে কম না দেয়া সাদাকা।
#অর্পিত দায়িত্ব আন্তরিকতা নিয়ে পালন করা সাদাকা।
#উত্‍সাহ-উদ্দীপক ভালো লেখা,গণসচেতনতামূলক চিঠি পত্রিকায় পাঠানো সাদাকা।
#যানবাহনে/অনুষ্ঠানে মহিলা প্রবীণ শিশু বা অসুস্থ কাউকে প্রয়োজনে নিজের আসনে বসতে দেয়া সাদাকা।
#অপ্রয়োজনে জ্বলতে থাকা বাতি ফ্যান এসি চুলা বন্ধ করাসহ যেকোনো অপচয় রোধে সচেষ্ট হওয়া সাদাকা।
#প্রযুক্তি ও কারিগরি জ্ঞান কাজে লাগিয়ে নতুন কিছু আবিষ্কারের মাধ্যমে অন্যের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ানো সাদাকা।
#জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে অর্থ বা শ্রম দিয়ে কাউকে অক্ষরজ্ঞান দান করা,জীবনযাপনের বিজ্ঞান শিক্ষা দেয়া,সত্‍সঙ্গে একাত্ম করা সাদাকা।

QUANMTUM FOUNDATION :http://quantummethod.org.bd/

বীর যোদ্ধা(মহাজাতক)

একটি প্রতিযোগিতা যাতে ৪০ থেকে ৫০ কোটি প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছে।লক্ষ্য একটি বৃত্তের মাঝে পৌছা।সেখানে শুধু একজনের বেঁচে থাকার আশ্রয় রয়েছে।সেখানে যে পৌছাতে পারবে,সে-ই বেঁচে থাকবে।আর বাকি সবাই মারা যাবে।প্রতিনিয়ত রাসায়নিক অস্ত্র বর্ষিত হচ্ছে।লক্ষ লক্ষ প্রতিযোগী মুহূর্তে মারা যাচ্ছে।কিন্তু একজন প্রতিযোগী সকল বিপদ অগ্রাহ্য করে সেই বৃত্তে প্রবেশ করল।আর সময়ের বিবর্তনে মানুষরূপে আবির্ভূত হলো এই পৃথিবীতে।মাতৃগর্ভে একটি ডিম্বানুর সাথে মিলিত হবার জন্য পিতার দেহ থেকে যে ৪০ থেকে ৫০ কোটি শুক্রাণু যাত্রা শুরু করেছিল,আপনি-আমি হচ্ছি সেই শুক্রানুর বিকশিত রূপ,যে ডিম্বানুর সাথে মিলিত হতে পেরেছিল।৪০/৫০ কোটির সাথে প্রতিযোগীতায় জয়ী হয়েই আমি/আপনি পৃথিবীতে আসতে পেরেছি।এই সাপেক্ষে আমরা একেকজন একেকটা বীর যোদ্ধা।

নবসুখ(খালিল জিবরান)

গেলোরাতে একটা নবতর সুখের সন্ধান পেলাম।প্রথমবারের মতো পরীক্ষা করতে যাবো,অমনি এক দেবদূত আর শয়তান দ্রুতবেগে আমার ঘরে প্রবেশ করলো।দরোজায় ওদের সঙ্গে আমার মুখোমুখি হতেই আমার নতুন আবিষ্কার নিয়ে ওরা বিবাদ শুরু করলো;একজন চিত্‍কার করে বললো,"ওটা একটা পাপ!"...আর অন্যজন বললো,"ওটাই পূণ্য!"

সেইসব মুখ(খালিল জিবরান)

মুখ আমি দেখেছি হাজারো প্রসন্নতায় ভরা,আবার অপ্রসন্ন মুখও দেখেছি,যেন ছাতাধরা । আমি মুখের আভা ভেদ করে দেখেছি কতোটা নোংরা-বিদ্ঘুটে লুকিয়ে আছে তার নিচে,আবার দীপ্তি দেখেছি কতোটা সৌন্দর্যমন্ডিত হতে পারে ওটা।আমি বুড়োমুখে দেখেছি যাতে বলতে গেলে কিছুই লেখা নেই,আবার মসৃন তরুণ মুখ দেখেছি যাতে প্রায় সবকিছুই অংকিত আছে।মুখ আমি চিনি,কেননা আমার চোখ-বোনা কাঠামোর মধ্য দিয়ে তাকিয়ে তার নিচে লুকিয়ে থাকা বাস্তবতা আমি দেখি।

দুই পণ্ডিত ব্যক্তি(খালিল জিবরান)

প্রাচীন শহর আফকারে বাস করতেন দুই পণ্ডিত।তারা পরষ্পরকে ঘৃণা করতেন,আর একে অপরের জ্ঞানের মর্যাদাহানি করতেন।কেননা,একজন ছিলেন নাস্তিক,অপরজন আস্তিক।একবার জনাকীর্ণ স্থানে নিজ নিজ অনুসারীদের সম্মুখে দুই পণ্ডিত ঈশ্বরের অস্তিত্ব-অনস্তিত্ব নিয়ে তর্ক-বিতর্ক শুরু করলেন।দীর্ঘ বিতর্কের পর তারা প্রস্থান করলেন।সে সন্ধ্যায়,নাস্তিক জ্ঞানী গির্জায় গিয়ে বেদির সামনে নিজেকে সমর্পণ করে পূর্বের কৃতকর্মের জন্য ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা প্রার্থণা করলেন।একই সন্ধায়,আস্তিক জ্ঞানী তার সমস্ত পবিত্র পুস্তক পুড়ে ছাই করে দিলেন;কেননা ঈশ্বরের প্রতি তাঁর এতোদিনকার বিশ্বাস হারিয়েছেন।

দুই ঋষি(খালিল জিবরান)

জনশূন্য নির্জন এক পাহাড়ে দুই ঋষি(রিশি) বাস করতো।তারা ঈশ্বরের উপাসনা করতো,পারষ্পরিক ভালোবাসাও ছিলো অটুট।সম্বল বলতে তাদের ছিলো একটি মাত্র মাটির পাত্র।একবার বয়োজ্যেষ্ঠ ঋষির মধ্যে মন্দচিন্তার উদ্রেক হলো।সে তখন কনিষ্ঠকে বললো,"অনেক দিন হলো একসঙ্গে আছি আমরা।এবার বোধহয় আলাদা হওয়াই ভালো।আমাদের যা আছে চলো ভাগাভাগি করি।"কনিষ্ঠ তখন বললো,"আপনি আমায় ছেড়ে যাবেন ভাবতেই ভীষণ কষ্ট হচ্ছে।কিন্তু যদি একান্তই তা করতে হয় তবে তাই হোক।"এই বলে মাটির পাত্রটি নিয়ে এসে বললো,"এটাতো ভাগ করা যাবে না,ওটা বরং আপনার কাছেই থাক।"জ্যেষ্ঠ তখন বললো,"না,আমি কারো দাক্ষিণ্য চাই না,যা কেবল আমার,আমি কেবল তাই নেবো।ভাগ করো এটা।"কনিষ্ঠ বললো,"ভেঙ্গে ফেললে এটা কারোই কোনো কাজে আসবে না।বরং আপনার কোনো উপকারে আসলেই তো ভালো।"জ্যেষ্ঠ আবার বললো,"আমি আমার নিজের জিনিস আর ন্যায় বিচারে বিশ্বাস করি,আর সেটা কোনোভাবে ভঙ্গ হোক এটা আমি চাই না।পাত্রটি অবশ্যই ভাগাভাগি করতে হবে।"আর কোনো যুক্তি দেখাতে অপারগ কনিষ্ঠ ঋষি তখন বললো,"এটাই যদি আপনার ইচ্ছা হয়,ঠিক আছে ভাগ করুন পাত্র।"জ্যেষ্ঠের মেজাজ ক্রমশই চড়া হচ্ছিল,এক পর্যায়ে চিত্‍কার করে বললো,"পাপিষ্ঠ কাপুরুষ,আমার সঙ্গে তর্ক করতে আসবি না।"

দেহ এবং আত্মা(খালিল জিবরান)

বসন্তকালে একজন পুরুষ এবং একজন স্ত্রীলোক খোলা জানালার পাশে বসেছিল।তারা খুব কাছাকাছি বসেছিল।স্ত্রীলোকটি বলল,তোমাকে ভালবাসি।তুমি সুন্দর,ধনী এবং সর্বদা ভালো পোশাকে থাকো। পুরুষটি বলল,তোমাকে ভালবাসি।তুমি সুন্দর কল্পনা।এতটা দূরে,হাত দিয়ে স্পর্শ করা যায় না এবং আমার স্বপ্নের গান। কিন্তু স্ত্রীলোকটি রাগান্বিত হলো এবং বলল,জনাব,আমাকে এখন যেতে দাও।আমি কল্পনা নই এবং আমি তোমার স্বপ্নের কিছু নই।আমি একজন স্ত্রীলোক।আমি চাই তুমি আমাকে একজন স্ত্রী,অনাগত শিশুর জননীরূপে কামনা কর। তারা বিচ্ছিন্ন হল। পুরুষটি মনে মনে বলল,দেখ,আরেকটি স্বপ্ন এখনই কুয়াশা হয়ে গেল। এবং স্ত্রীলোকটি বলছিল,যাক্,যে পুরুষ আমাকে কুয়াশা আর স্বপ্নে রূপান্তর করে,তার সঙ্গে কি?

প্রেমের সঙ্গীত (খালিল জিবরান)

একদা এক কবি একটি সুন্দর প্রেমের সঙ্গীত রচনা করেছিলেন।তিনি সঙ্গীতটির বেশকিছু কপি তৈরি করে বন্ধুবান্ধব,পরিচিত পুরুষ ও মহিলা,এমনকি পর্বতে বাস করে এক তরুণী,যার সঙ্গে মাত্র একবার তার দেখা হয়েছিল তাকে পর্যন্ত বিলি করলেন।
দু'একদিনের মধ্যে এক পত্রবাহক সেই তরুণীর কাছ থেকে এক পত্র নিয়ে এল।পত্রে সে লিখেছে,আমাকে তুমি নিশ্চয়তা দাও।তুমি যে আমার জন্য প্রেমের গানটি লিখেছ,তা আমাকে গভীরভাবে স্পর্শ করেছে।এখনই আস এবং আমার মা-বাবাকে দেখ।আমরা বিয়ের আয়োজন করব।
কবি পত্রের উত্তর লিখে জানান,বন্ধু,এটা কবির হৃদয় থেকে উত্‍সারিত একটি প্রেমের সঙ্গীত।এটা সকল পুরুষ ও নারীর জন্য।
তরুণী প্রতিউত্তরে জানাল,স্বার্থপর এবং মিথ্যুক!শুধু তোমার কারণে আজ থেকে মৃত্যুদিন পর্যন্ত আমি সকল কবিকে ঘৃণা করব।

বিপরীত বাসনারা(রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ)

একদিন নারী প্রেম ডেকেছে আমাকে,আমি খুব সাড়াহীন নিঃশব্দে ছিলাম আমি যাইনি।
বন্ধ দরোজায় করাঘাত করেছিলে তুমি প্রেম আমি দোর খুলিনি-আমি যাইনি।
উন্মুল বাসনা বিদ্ধ রক্তাক্ত যৌবন আমাকেও ডেকেছিল অভিসারে আমি যাইনি।
নদীদের রোমন্থনে ভাষা আছে ঢেউয়ের মুকুটে জীবনের প্রতিবিম্ব এ কথাও বলেছিলে একদিন-
তবু আমি যাইনি নদীর কাছে, সাগর আমাকে ডেকেছিলো আমি যাইনি।
সৌন্দর্য আমাকে ডেকেছিল প্রাচুর্য আমাকে ডেকেছিলো আমি যাইনি-
তুমি আমাকে ডাকোনি কখনো আমি শুধু তোমারই কাছে যাবো।

অস্তিত্বহীন দাস(এস.এম.জাকির হুসাইন)

দাসের পক্ষে মনিবকে ভালোবাসা বড় কঠিন।
দাসের ২৪টা ঘন্টার মালিকানা মনিবের
এবং তার গোলগাল ঘড়ির
৩৬০-ডিগ্রী স্বাধীনতার সবটুকু।
সুতরাং,হে মনিব,
আমার অক্ষমতা ক্ষমা কর।
আমি যদি তোমার সাময়িক দাস হতাম--
আধা -কেনা এবং আধা-মুক্ত--
এবং আধা বেতনভুক্ত এবং আধা পেটে-ভাতে,
তাহলে তোমাকে ভালোবাসার জন্য
আমার কিছুটা অবসর সময় থাকত।
তুমি তো জান--অপরকে দেবার মতো কোনোকিছুই থাকার কথা নয় পরাধীন কোনো হৃদয়ের।
সুতরাং,হে মনিব,আমি শুধু তোমাকে এই সত্যটাই স্মরণ করিয়ে দিতে পারি যে--
আমার হৃদয়ের মালিক আমি নই।
প্রভু গো!আমাকে সেই সুযোগ্য দাস হবার যোগ্যতা দাও
যে কামনা করে যে সমস্ত ক্ষমতা থাক তার মনিবের হাতেই।

খেতে বসার দোয়া(এস.এম.জাকির হুসাইন)

বহুদিন ধ'রে আমারা খিদে পাচ্ছে
যথানিয়মে--রুটিন অনুযায়ী
অথচ চিরকাল আমি খেতে বসেছি এমনভাবে যেন জীবনেও খাবারের মুখ চোখে দেখিনি আমি।
ক্ষুধা আসে পেটের মাপে
অথচ আমি খাবার মাপি চোখ দিয়ে ক্ষুধা আসে একই উত্তাপে
অথচ আমি খাবার চাই বিচিত্র স্বাদের।
ক্ষুধা চিরকালই তার স্বভাবের ঐক্যকে রক্ষা করে এবং এভাবে সম্মান করে তাওহীদের পবিত্রতাকে--
অথচ আমি থেতে বসি পাকস্থলী এবং জিহবার দাস হয়ে।
সুতরাং আমি খাবার দিয়ে ক্ষুধাকে মাপব
আজ আমি লাগামহীন আকাঙ্ক্ষা দিয়ে খাবারকে মাপব না ক্ষুধার ফর্মুলা গোটা জীব জগতেই অভিন্ন।
তাহলে কেন খাবারের ফর্মুলা হবে অনিয়মিত?
নিজের ক্ষুধা নিয়ে গবেষণা করার জন্য কাউকেই অক্সফোর্ড হারভার্ডের গবেষক হবার প্রয়োজন হয় না।
বরং আমি আজ এমন এক অভিনব সত্যকে আবিষ্কার করতে চাই যা জানেনি অধিকাংশ বড় বিজ্ঞানীও।
ক্ষুধার স্রষ্টা আমাকে তৃপ্তির জ্ঞান দান করুন।
আমার সামনে তকতকে খাবার আমি ঘ্রাণ পাচ্ছি।
ঠিক এই মুহূর্তে অনেক মানব ও প্রাণী তাদের ক্ষুধাকেই চিবিয়ে হজম করার চেষ্টা করছে।
প্রথম গ্রাস গালে পুরার আগেই তাদের কথা আমার ভাবা উচিত্‍।
ঠিক এই মুহূর্তে সাময়িক এবং দীর্ঘস্থায়ী অনাহারে যারা আছে তাদের অনেকে বৃদ্ধ এবং বৃদ্ধা
যুবক এবং যুবতী
নারী এবং শিশু
অনেকের থালা শুকিয়ে গেছে
অনেকের কোনো থালাই নেই
তাদের সম্মানে আমি এক গ্রাস কম খাব।
আমার পূর্বপুরুষদের অনেককে অনেক সময়ে থাকতে হয়েছে নিদারুণ দারিদ্র্যে ও অনাহারে।
তাদের সম্মানে আমি একগ্রাস কম খাব।
আমার পুর্বপুরুষদের অনেকে ভোগ-লালসার আধিক্যে ডুবে গিয়ে সীমালঙ্ঘন করেছে তাদের অনাচারের ফল হিসেবে আমি বংশানুক্রমিকভাবে পেয়েছি ব্যাধি তেমনি সামাজিক প্রতিপত্তি ও অর্থবিত্তও।
এই খাবার খাওয়ার ব্যাপারে
জিহবা কে অনুমতি দেবার আগে মনের সাথে আমার কিছু চুক্তি আছে:
আমি এ থেকে যে তৃপ্তি পাব তার বিনিময়ে যেন তাদেরকে ক্ষমা করি যারা আমার মনে কষ্ট দিয়েছে।তার কারণে আমি ভুলে যাব আমার বিগত জীবনের আফসোস।
আমি এ থেকে যে শক্তি পাব তা দিয়ে পরিবার সমাজ ধর্মের প্রতি আমার কর্তব্য পালন করব।
প্রতি এক গ্রাস আহারের বিনিময়ে আমি একটা ক'রে বদ অভ্যাস ত্যাগ করব।
এবং একটা ক'রে ভালো কাজের সংকল্প করব।
এই আহার দিয়ে গর্বিত হবে যে দেহ আমি তার মালিকানা দাবি করব না।
এক গ্রাস আহারকে আমি মনে করব এক গ্রাস তৃপ্তি
এবং তার বিনিময়ে আমি সাধ্যমতো আর এক গ্রাসের ক্ষুধা মেটাবার জন্য প্রতিজ্ঞা করব।
সুতরাং বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম।আমি এখন খেতে শুরু করব।

আমার প্রিয় লোভ(এস.এম.জাকির হুসাইন)

সম্ভবত আমি গোটা মহাবিশ্বের
শ্রেষ্ঠতম লোভী।
এবং আমি আমার লোভকে ভালবাসি
যেমন ভালবাসি জীবনকে।
লোভ ছাড়া অর্থহীন এ জীবন।
গুরু বলেছিলেন--মনের মধ্যে চিন্তাকে নাড়িয়ো না।
তাঁর আদেশে থেমে গিয়েছিল মনের স্বয়ংক্রিয় চিন্তা।
তখন আমি আমার আকাঙ্খাকে ছেড়ে দিলাম।
গুরু আদেশ করলেন--
একটা আকাঙ্খা যেন না জাগে মনে।এবং যেহেতু আমি ভালোবাসতাম আমার গুরুকে মনের চেয়েও বেশী--
আমি তত্‍ক্ষনাত্‍ মনের মধ্যে জাগিয়ে তুলে সহস্রাধিক আকাঙ্খা
শূন্যে দিলাম ছেড়ে।
আকাঙ্খাগুলো প্রবল হলো বাতাসের চেয়ে।
আমার দৃষ্টির রঙে আকাশ গেল ছেয়ে ভরপুর আমার লালসায়।
আমি আমার প্রভুকে বললাম--
সবকিছু চাই আমি--
গোটা পৃথিবীর সমস্ত সম্পদ!
জবাব এল নিরবতার।
'সমগ্র মানব এবং জীবজগত্‍ শুধু আমার।'
একটা পাখিও আমার বিরুদ্ধে গায়নি।
এবং জবাব এল আকাশ থেকে--
আমারই দাবির আকাশী প্রতিধ্বনি।
গোটা পৃথিবীর মালিকানা পেয়ে
আমি একক কণ্ঠে ঘোষণা করলাম--
"এবং আমি আমার সমস্ত সম্পদ আজ বিতরণ ক'রে দিলাম
মানুষ এবং গোটা জীবজগতের কাছে।কারণ আমি আমার পরিবারকে ভালবাসি,আমার পৃথিবীতে যারা বসবাস করে আমার সংসারে।একটা ক্ষুদ্র প্রাণীও আমার হৃদয় থেকে পালাতে পারবে না।"
আমার ঘোষণার প্রতি বিরোধিতা করার মতো ছিল না কেউ।
পরম দয়াময় আমার লালসাকে সমর্থন দিলেন।
হে প্রভু!আমি যদি জীবনে কখনও কিছু পাওয়ার জন্য কামনাপূর্ণ হই তাহলে আমার মধ্যে যেন কামনা জাগে গোটা মহাবিশ্বকে পাবার
ঠিক যেমন কোনো একটি পরিবারের যে-কোনো একজন সদস্য গোটা পরিবারটিকেই পায়।

আত্মরক্ষার মন্ত্র(এস.এম.জাকির হুসাইন)

কচ্ছপ ভালোভাবেই জানে কিভাবে লুকাতে হয়--ভেতরে!
ভয় পেলে ঘুমিয়ে পড়া ভালো--
তাতে ভয়ের চেতনারা হৃদয়ের ঘরে হানা দেবে না।
মানুষ তখনই ভয় পায়--
যখন সে জানে যে সে ভয় পেয়েছে।
কিন্তু সে যদি জানতে পারে যে সে আছে ঘুমিয়ে তাহলে তার ভয় যাবে চ'লে।
কারণ স্বপ্নকে কেউ ততক্ষণ ভয় পায় না যতক্ষণ সে জানে যে সে স্বপ্ন দেখছে।
কিন্তু হায়,নরকের কিনার ঘেষে হামাগুড়ি দেবার সময়ে এ কথা না জানা অসম্ভব যে আমি সজাগ আছি।
মানুষ যা ভালোবাসে না--
তা তাকে জাগিয়ে তোলে।
এবং সে যা পছন্দ করে গোপন আগ্রহে--তা তাকে ঘুম পাড়িয়ে দেয় বিষাক্ত মন্ত্রের মতো।
দুঃখের মুখোমুখি জেগে থাকার কষ্ট দুঃখীকে কেন জ্ঞানী ক'রে তোলে না?
সুখের মুহূর্তের মাধুকরী ঘুম
কেন মানুষকে ভীত করে না দুঃস্বপ্নের হানা দিয়ে?
আর তাই আমি গোটা মহাবিশ্বকে বিক্রি ক'রে দিতে চাই--
তাদের কাছে--যারা এর মালিক।
ফলত লেনদেনের ঝামেলা থেকে আমি মুক্ত।
প্রভু গো,আমাকে দুর্বল ক'রে দাও বাইরে--এবং ভেতরে আমাকে তুমি যথেষ্ট পরিমাণে সাহসী ক'রে তোল।

জাগরণের আগে নিদ্রিতের দুঃখ(এস.এম.জাকির হুসাইন)

স্বপ্ন শেষ-এবার ওঠো জেগে-
মুয়াজ্জিন আজান ফুঁকতেই
ডান হাতে গুটিয়ে ফেললাম বিছানা এবং ওজু ক'রে
নামাজের মধ্যে এসে দাঁড়ালাম।
কিন্তু হায়!অতীতগামী স্বপ্ন খুঁজতে খুঁজতে
হারিয়ে গেল সমুখের নামাজ।
স্বপ্ন থেকে বের হতে না পারলে
কিভাবে জেগে উঠব আমি?

ন্যয়বিচার চাই না আমি(এস.এম.জাকির হুসাইন)

তোমার কাছে ক্ষমা চাওয়ার আগে-প্রভু-
নিজেকে দাঁড় করিয়েছিলাম বিবেকের কাঠগড়ায়:
আমি আজীবন কতটুকু ভালোকাজ করেছি
তা আমার জানার কথা নয়
যেহেতু কাকে বলে ভালো তা আমার
ভালো ক'রে জানা নেই
কিন্তু কতটুকু খারাপ কাজ করেছি-
তা আমার না-জানার কথা নয়
কারণ কোনো ভালোই ভালো নয়
যদি না তার উদ্দেশ্য হয় পবিত্র।
এবং আমার উদ্দেশ্যকে সবচেয়ে ভালো জেনেছি আমি
এবং আমি ন্যয়বিচার পছন্দ করি ব'লে
ক্ষমা করতে পারিনি নিজেকে।
আর এভাবে বিচার শেষে
অভিযুক্ত আমি।
আমার আদালতে।
আইনের ফাঁক গ'লে বেড়িয়ে যাব
এমন সুযোগও আর নেই-
সত্যের দাবিতে আজ বিচারক থেকে
বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বিচার
তোমার অপেক্ষায়।
তোমার দয়ার সুযোগ নিয়ে বেরিয়ে যাব আমি
আমারই কারাগার থেকে
এই আশায় আপীল করলাম-হে দয়াময়-
তোমার আদালতে।
আমার বিচারে আজ অভিযুক্ত আমি
একমাত্র তোমার দয়াই আমার শেষ ভরসা।
আমাকে ক্ষমা করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়
সে অধিকার রয়েছে কেবল তোমারই
হে মহাবিচারক।

প্রথম প্রেমের শেষ দিকে...(এস.এম.জাকির হুসাইন)

প্রেমের কথা আংশিক জেনেছেন কবিগণ
কারণ তারা তা বলতে বলতে গানের সুরে কেঁদে ওঠেন।
প্রেম যখন মঞ্চে ওঠে
তখন তা দর্শককে কাঁদায়
সুতরাং কবি কোনো প্রেমিক নন
তিনি প্রেমের ট্রাজেডির দর্শকমাত্র।
প্রেমের প্রথম নাম বিরহ
বিরহ মানে আগুন
আগুনকে ইন্ধন না দিলে তা ঠিকমতো জ্বলে না
সুতরাং গনগনে আগুন সৃষ্টি
করার জন্য নিকটস্থ বৃক্ষ থেকে সংগ্রহ করতে হয় কাঠ
এবং যতক্ষণ তা না শুকাচ্ছে
ন্যূনতম ধোঁয়ার প্রতিশ্রুতিতে
ততক্ষণ তা মেলে রাখতে হবে নগ্ন রোদে
এক প্রেমে বহুবার কাঁদার মতো উত্তপ্ত চোখ
সবার থাকে না
কারণ এক বিরহ ঋতুতে ঋতুতে ঘোরে ফেরে
ভিন্ন ভিন্ন আয়তনের নিঃশ্বাস
তার জলবায়ুর নিদর্শন
কেউ প্রেমরোগে আক্রান্ত হলে
ডাক্তার ঘন ঘন তার ওজন পরীক্ষা করেন
সপ্তাহে উল্লেখযোগ্য ওজন খোয়াতে না পারলে
রেজিস্টার্ড ডাক্তার কখনও প্রেমের রোগীকে
তার রোগের জন্য সার্টিফিকেট দেন না।
সময়কে যে ভালবেসেছে
কিভাবে সে অপেক্ষা শিখবে?
আর অপেক্ষা করতে যে শেখেনি
সে কিভাবে ত্যাগ করবে সময়ের মায়া?
এবং সময়ের মায়া ত্যাগ করতে না পারলে
দূরের দিকে তাকিয়ে থাকা কিভাবে সম্ভব?
দূরকে ভালোবাসা মানেই বিরহ
এবং বিরহ হলো প্রেমের ব্যক্তিগত নাম।
প্রেমের প্রথম নিদর্শন হলো এই যে
তা হয় স্রেফ একতরফা
একেবারে নিজের দায়িত্বে চোখ বন্ধ রেখে
প্রেম করা অত্যন্ত জরুরি
অ্যাপয়েন্টমেন্ট মিস করার জন্য
কথা দিয়েছিল যে
তার জন্য আগে থেকে অপেক্ষায় থাকা;
যে বলেছে যে সে আগামীকাল আসবে
তার জন্য গত পরশু দিন থেকে
অপেক্ষায় থাকার নাম একতরফা বিরহ।
দুদিক থেকে বিরহ হলে তার নাম
প্রেম হয় না
তার নাম হয় সাজানো নাটক
যার রচয়িতা আগে থেকেই জানেন
অবশেষে ঘটনাটা কোথায় গড়াবে।
সুতরাং আমি একাই ভালোবাসি
আমার ভালোবাসা আমাকে আরো একা ক'রে দিক
এবং আমার একাকিত্বই হোক আমার
ভালোবাসার পুরুস্কার।
অবশেষে হারিয়ে যাক এই একাকিত্ব
শূন্যতার মাঝে।
সব হারিয়ে নিঃস্ব হতে না পারলে
প্রেম ক'রে কি লাভ?
সবচেয়ে বড় লাভই হলো
সবকিছু হারানো।

বিশ্লেষণী ধ্যান(এস.এম.জাকির হুসাইন)

হে আল্লাহ্! সর্বশক্তিমান! পরম দয়ালু!
আমার প্রার্থনা শোন।
তুমিতো সর্বশ্রেষ্ঠ ধ্বংসকারী।
তুমি অনেক জাতিকে ধ্বংস করেছ;
অনেক মানবগোষ্ঠিকে;
অনেক শহর,নীহারিকাপুন্ঞ্জ,গ্রহ-উপগ্রহ,কৃষ্টি-কালচার,বিশ্বাস-অবিশ্বাস-অনেক কিছু।
কিছু লোক রয়েছে যাদেরকে তুমি আকষ্মিকভাবে পাকড়াও ক'রে থাক,যখন তারা নরকের দিকে হাঁটতে হাঁটতে যেতে থাকে।
তাহলে তুমি কেন চোখের পলকে আমাকে পাকড়াও করছ না।
হে প্রভু,আমার প্রার্থনা শ্রবন কর:
ধ্বংস কর....
ঠিক এখনই....
নিষ্ঠুরভাবে....
এবং চিরস্থায়ীভাবে....
ধ্বংস কর....
আমার ক্রোধকে।
ধ্বংস কর....
.....আমার হতাশাকে।
ধ্বংস কর....
....আমার দূর্বলতাকে।
হে দয়াময় ধ্বংসকারী!
আমার ওপর দয়া কর এবং
ধ্বংস কর....
....আমার অজ্ঞতাকে
....আমার অলসতাকে
....আমার হতাশাকে
....আমার ভুলভ্রান্তিকে
....আমার অকৃতজ্ঞতাকে
....আমার নৈরাশ্যকে।
হে প্রভু!
ধ্বংস করো-সেকেন্ডের মধ্যেই-....আমার লোভকে
....আমার কাপুরুষতাকে
....আমার বোকামিকে
....আমার নিষ্ঠুরতাকে
....আমার ক্ষীণদৃষ্টিকে এবং
....দারিদ্র্যকে:
সব ধরনের-
- অর্থনৈতিক মানসিক আধ্যাতিক।
হে প্রভু!তুমি যদি ধ্বংস না কর আমার মধ্যে যা কিছু খারাপ রয়েছে তা
তাহলে আমি তো ভালো থেকে আরো ভালোর দিকে যেতে পারব না;
আমার মধ্যে যা কিছু ভালো রয়েছে তাকে লালন করতে পারব না।
তুমি যদি ধ্বংস না কর আমার মধ্যে যা কিছু ভালো রয়েছে তা তাহলে আমি তো
ভালো থেকে আরো ভালোর দিকে এগিয়ে যেতে পারব না।
তুমি যদি ধ্বংস না কর আমার অযোগ্যতাকে তাহলে তো আমার যোগ্যতা পূর্ণাঙ্গ হবে না।
তুমি যদি ধ্বংস না কর আমার সাময়িক যোগ্যতাকে তাহলে আমি কিভাবে তোমার ওপর নির্ভর করতে শিখব?
হে আমার শ্রেষ্ঠতম বন্ধু!
আমি যখন ঘুমাই আমি যাবতীয় দায়িত্ব থেকে পালিয়ে যাই
এবং বিশ্রাম নিতে চাই।
কিন্তু আমি কি চাই যে
আমার হৃত্‍পিন্ডটাও তার সমস্ত দায়-দায়িত্ব ভুলে যাক এবং বিশ্রাম নিক?
নিশ্চয়ই আমি তা চাই না।
সুতরাং,আমাকে ধ্বংস করার যোগ্যতা দান কর জীবনের ধ্বংসকারী জিনিসগুলোকে এবং আমার হৃদয়কে দূষণমুক্ত রাখার যোগ্যতা আমাকে দাও।
চারদিকেই ধ্বংস ভ'রে যাক-আমার হৃদয়ের জগত্‍ জুড়ে-
এবং আমি যেন হঠাত্‍ ধরা পড়ে যাই
-হঠাত্‍-
সফলতার ফাঁদে
এবং বিপুল ধ্বনাত্মক শক্তিবলয়ের মধ্যে।
উপরের দিকে যেতে যেতে যেতে যেতে যেতে শুধুই চলুক ধ্বংসের ঘনঘটা।

প্রকৃত ধনীর চিন্তা পদ্ধতি(এস.এম.জাকির হুসাইন)

ক্ষুধার্ত মুখ দেখলে আমার ভালো লাগে। কারণ আমি একটা ক্ষুধার্তকে ভালোবাসার সুযোগ পাবো। নিঃস্ব মানুষ দেখলে আমি পুলকিত হই। কারণ আমার চোখের সামনে একজনের জীবন বদলে যাবে। অপরের পেটের ক্ষুধা আমার দয়ার চেয়ে বড় নয়। জগতের যাবতীয় নিঃস্ব যেন আমার উত্তরাধিকারী হতে পারে -- হে প্রভু!আমাকে এমন সম্পদশালী ক'রে দাও। ভরা হাতে মানবজাতির সামনে দাঁড়িয়ে আমি যেন খালি হাতে ফিরে যেতে পারি ওজনহীন নিঃস্বের মতো। আমাকে তুমি এ কথা প্রমাণ করার যোগ্যতা দাএ যে-- প্রেমের সাথে পাল্রা দিয়ে দারিদ্র্য কখনও জয়ী হতে পারে না।

প্রশংসা(এস.এম.জাকির হুসাইন)

ঊষার নির্মল আলোয় মুখ ধুয়ে
সবুজ বাতাসের সাথে পরিচ্ছন্ন নিঃশ্বাস নিতে নিতে
অকপটে তোমার প্রশংসা করেছিলাম ,প্রভু।
অনিবার্য সন্ধ্যার ঘনায়মান আঁধারের প্রান্তে ব'সে
এখন কিভাবে তোমার নিন্দা করব.মালিক-
শুধু এ কারণে যে.মুখে একটু ছায়া পরেছে?

দিনের শুরুতে .এবং শেষে
এবং মাঝামাঝি সময়ের প্রতিটি বিন্দুতে
চিন্তায় .চেতনায়
জ্ঞানে এবং অজ্ঞতায়
অনুভূতিতে এবং আড়ষ্টতায়
সমস্ত প্রশংসা কেবল তোমারই জন্য।
শুধু তোমার প্রশংসার জন্যই আমাকে সৃষ্টি করেছিলে তুমি
এই যেন হয় আমার
জীবনের চূড়ান্ত প্রতীতী।

সেবা(এস.এম.জাকির হুসাইন)

পৃথিবীটা বিপন্ন আজ:
সুপুষ্ট নখর এবং থাবা-
বেড়ে উঠেছে কৌশলের সাথে।
এখন হাসির সাথে দেখা যায় অত্যধিক দাঁত
এবং বাণীর সাথে লেগে থাকে ভীষণ আঠালো এক জিভ।
আগ্রহী চোখের সাথে রয়ে গেছে তীর -
এবং পৃথিবীর কিছু চিণ্হিত বাগান
মনোরম লক্ষ্যবস্তু বটে!
আর তাই পৃথিবীটা-যদিও নিরব-
অত্যুজ্জ্বল দিবালোকেও আমাকে কাঁদায়।
তার বুকের ওপর অসমবন্টিত ক্ষত দেখে
বুঝতে পারি আমি কত ভয়ংকর হয়েছি শৈশব থেকে।
হে প্রভু!আমার কবল থেকে আজ পৃথিবীটাকে বাঁচাও:
আমি ছাড়া তার অনিষ্ট করার জন্য কে বা আছে আর?

আমরা জনগণ(জামান দিপু)

ওই যে ওই পাড়ায় ভদ্ররা বাস করে।আর ওইযে জোরে কথা শুনা যায় ওই পাড়ায় অভদ্ররা বাস করে।আমরার এইখানে সাধারণের বাস।ওই দুই পাড়া মিল্লা ঝগড়া করে আর আমরারে মারে!

ক্ষেপনাস্ত্রের শেষ ইচ্ছা(জামান দিপু)

বিপন্ন এই পৃথিবীর একদেশের ক্ষেপনাস্ত্র আরেক দেশের ক্ষেপনাস্ত্রের বন্ধু হতে চায় নিজেদের বিলুপ্ত করে।পারে না।তারা বলে যুদ্ধ নয় শান্তি চাই,শান্তি রক্ষায় প্রয়োজনে কঠিন যুদ্ধ করতেও আমরা প্রস্তুত।মানে নিজেদের হত্যা করতেও প্রস্তুত।

স্বপ্ন সংক্রান্ত কাব্য বোধহয়(জামান দিপু)

১.(বহ্ণি)"স্বপ্নে জলসায়,বহ্ণি ঝলসায়"। ২.(স্বপ্নফসল)"স্বপ্নে তুমি আমি মেতে উঠি,পৃথিবীকে ফসলে ভরে দেবো বলে।কখনো জীবন্ত ফসলের আশায়।কখনো ফসলহীন চিন্তা মাথায় রেখেই করি চাষাবাদ।শেষতক থাকে শুধুই দীর্ঘশ্বাস।" ৩.(পরিবর্তিত জলবায়ু )"চৈত্রের এই ঘনকুয়াশায়,তুমি-আমি দিন কাটাই ,একই কম্বলের তলায় শুধু একটু উষ্ণতার আশায়।" ৪.(গোঁলাপ)"প্রতিদিন দেখি দুইটি গোঁলাপ।একটি তাহার স্থির,আরেকটি করে ছুটোছুটি আর আমাকেই করে অস্থির"

অপচয়কে না বলি(জামান দিপু)

একটু দেখুনতো আপনার বাসায় কিংবা কর্মস্থলে গ্যাস,বিদ্যুত্‍,পানি কিংবা আপনার চিন্তাশক্তির অপচয় হচ্ছে কিনা।যদি হয়ে থাকে দয়া করে সুইচগুলো অফ করে দিন।ধন্যবাদ

রসালোচনা(জামান দিপু)

১.ডাক্তার সাহেব আমারে আমার জ্বর ফিরায়া দেন আপনে আপনার এন্টিবায়োটিক ফিরায়া নেন।(এন্টিবায়োটিক এর জাতাকলে পিষ্ট এক রোগী)
২.বলত্‍কারও হইলাম আবার টাকাও দিলাম(সদ্য pregnant হওয়া গাভীর আকুতি)
৩.অপরিকল্পিত মোরগ-মুরগীর পরিবার গড়ে বড় বড় খামার।
৪.পেটে পীড়া থাকলে যখন খাবার পাকস্থলীতে পৌছায় তখন পাকস্থলী খাবারকে বলে,"পরে আসতে পারছ না দেখছ না roads & highway এর কাজ চলতাছে।"
৫.বুকটা হুহু করিয়া উঠিল তাহাকে স্পর্শ করিবার পর মনে হইল আমি পাইলাম তাহাকে পাইলাম।(গতকাল ৫০০ টাকার নোটটি হারাইয়া গিয়াছিল তাকে)
৬(1).আমাদের একটাই দাবি লিপস্টিকে কোনো প্রকার ক্ষতিকারক কেমিক্যাল মেশানো যাবে না।(প্রেমিক সংগঠন)
(¡¡)স্ত্রী:ওগো হঠাত্‍ তোমার পেটখারাপ হলো কেনোগো?
স্বামী:তোমারেনা কইছি কুদ্দুছের দোকানের লিপস্টিক না দিতে!
৭.সমাজে আমারও একটা weight আছে ৫৮ কেজি।
৮.পেটে খাবার নাই তাতে কি ভাব কোনোদিনও কমবো না।
৯.actuly আমি totaly বাংলা কথা বলতে পারি না।
১০.ইতিহাস সাক্ষি দেয়, আমি ছোটোবেলায় আলিফলায়লা দেখতাম।পাশাপাশি ম্যকগাইবারও।না দেখতে পেলে কান্না করতাম আর আম্মুকে বলতাম"আম্মু আমার ম্যকগাইবার আইনা দাও ই ই ঈ!"
১১.(¡)গোলাপ হইতেও কেরোসিনের গন্ধ অতি উত্তম!(try urself)

(¡¡)গোলাপের গন্ধে মাথা ধরে,কেরোসিনের গন্ধ বাতের ব্যাথা উপশম করে।(মসিউর ভাই বলছে)
১২.বই পড়া ভালো না,এটা জানতে হলে আপনাকে প্রচুর বই পড়তে হবে।
১৩.আর কত দৌড়ামি?এইতো আর একটু দেখবা প্রেম উপচাইয়া পড়বো।(মোরগ-মুরগীর কথোপকথন)
১৪.তুমি নর হইলে আমি তোমার বর!(ছন্দবাদী কবি)
১৫.femelder ফেয়ার অ্যাণ্ড লাভলী বেশীরভাগই পুরুষ ব্যবহার করে।(মুদী দোকানদার)
১৬.যেই এলাকার পানি যত কালো ও দুর্গন্ধময় সেই এলাকার ভূমির মূল্য তত বেশী।(বাংলাদেশের ভূমির মূল মূল্যতত্ত্ব)
১৭.হুম! সার্টিফিকেট এনেছেন?
জ্বি স্যার তবে ফটোকপি।attested করা আছে।
হুম! ভালো এ এ এ ডাঃকদম আলী সরদার(এম.বি.বি.এস)
(এফ.সি.পি.এস) ভালো বেশ ভালো।তো ডাক্তার আপনার পরিচিত?
জ্বি স্যার।
তো ডাক্তার সাহেবের কি কোনো private chamber আছে নাকি?
জ্বি স্যার নীলক্ষেত বইয়ের মার্কেটের ভিতর।
ওইখানে কেন?
স্যার মানে উনি ওইখানে ফ্লাক্সো,সিল ছপ্পরের দোকানদারি করেন।
১৮.আর বইলেন আপা বাচ্চাটা দিন দিন মোটা হইয়া যাইতেছে,কি করমু শুধু খাই খাই করে দুপুরের খাবার সকালেই খাইয়া ফেলে,রাতেরটা দুপুরে আর সকালের খাবার রাতেই খাইয়া শেষ।আপনার বাচ্চার কি হইছে মনে হয় দেশে দূর্ভিক্ষ দেখা দিছে।
কি কমু আপা খাবারতো খেতেই চায় না।এই ধরেন সকালের খাবার সেই দুপুরে,দুপুরেরটা সে--ই রাতে আর রাতের খাবার সকালে।আপনি ই বলেন¡(স্কুলের সামনে বসে থাকা বাচ্চাদের মায়েরা এভাবে সময়কে গুরুত্বপূর্ণ করিয়া তোলেন)
১৯.একই উত্‍স হতে আসা ৫০ কোটি dna যদি একই সময়ে ৫০ কোটি ডিম্বানুতে প্রতিস্থাপন করা যায় তবে কি ঘটবে?(নেন science দিয়া দিলাম এবার বসে বসে fiction করেন আর লেখেন।)

মাঝে মাঝে আজ আমি(জামান দিপু)

আজ আমি আমি নই,আজ আমি অন্য কেউ।
সারাদিন ছিলাম মগ্ন,বিশ্রী এক চিন্তা নগ্ন।
পৃথিবীকে করতে নাশ,আমার ভিতর আজ শয়তানের বাস।
মাঝে মাঝে আমি এমন হই,আমি যেন আমি নই।
আমি যেন অন্য কেউ!

তথাকথিত আধুনিক নারী(জামান দিপু)

নারী তুমি কেনো এত উতলা হও?
কেনো নিজেকে মেলে বিপরীতকে কষ্ট দাও?
কেনো বিপরীতের মনে অযাচিত বাসনা জাগাও?
ইভটিজিং করতে বাধ্য করে বিপরীতকে জেলে পাঠাও।
তুমিতো ভোগ্যবস্তু নও!

তবে পণ্যের মতো কেনো নিজেকে সাজাও।
একটু সাবধান হও
মিছেমিছি কেনো নিজেকে ঠকাও।