শুক্রবার, ১৯ আগস্ট, ২০১১

সেই অনন্য গল্পটি(এস.এম.জাকির হুসাইন)

এক দেশে এক যে ছিল সুখ
আর ছিল একটি দেহ।
দেহ চাইল সুখকে অনুভব করতে
আর তাই সে কামনা করল একটি প্লাবন।
ঝরঝর বৃষ্টি ঝরল তাই।
সপ্নে প্লাবিত হয়ে--এবং অতঃপর
শক্ত মাটিতে সেই স্বপ্ন রোপন করার ইচ্ছায়--
দেহ তার প্রতিবিম্বকে দেখল সেই বিপুল প্লাবনে--
এবং তৃষ্ণার্ত হলো নিজস্ব কায়দায়।
দুইকে এক করার জন্য ছিল একটি বৃত্ত--নাম তার মন।
এবং সেই বৃত্তেরও ছিল প্রতিবিম্ব।
ফলে ছিল না কোনো ব্যক্তিসত্তা--
শুধু ছিল দুইয়ের মিলনের মধ্য দিয়ে কোনো এক ব্যক্তিসত্তায়
ধীরে ধীরে পৌছতে থাকার একটি ধারণা।
আর এখানেই লুকিয়ে ছিল একটি পোকা।
প্রতিটি মিলন সৃষ্টি করল আরো কিছু পার্থক্য এবং বৈচিত্র্য।
সুখ--ঐক্যের বৃক্ষের ফল--তীলে তীলে
হারাতে থাকল তার সম্ভাবনা।
কারণ অতিমাত্রায় বেশিসংখ্যাক ফুল মিলে স্বপ্ন দেখেছিল একটিমাত্র ফলের।
তারপর এক যে ছিল দেশ--কিন্তু ছিল না সেই সুখ।
এবং একদা সেই দেশটাই আর রইল না।
একটি গল্প আছে এক যে ছিল দেশের।
এখন একটি গল্প আছে এক যে ছিল সুখের।

আধুনিক জীবনের নির্যাস(এস.এম.জাকির হুসাইন)

এই পর্যন্ত মানব-জাতি দুটো অভ্যাস বেশ ভালোভাবেই রপ্ত করেছে :
মানুষ সংক্ষিপ্ত আনন্দে তৃপ্ত হতে শিখেছে
এবং ব্যক্তিগত ঘরোয়া আনন্দকে উপভোগ করতে শিখেছে জনসমক্ষে।
প্রথম অভ্যাসটা রূপান্তরিত হয়েছে একটা মূল্যবোধে
ফলে কোরবানির আকাঙ্খার শক্তি গেছে দুর্বল হয়ে
এবং ক্ষীণ হয়ে গেছে ধৈর্যের পেশী।
এখন তাই নৈতিকতার নরম গদিতে বসে
মানুষ নৈতিকতাকে সংজ্ঞায়িত করতে চায় গাণিতিক ভাষায়
যা কোরবানি হয়ে যাচ্ছে পারষ্পরিকভাবে স্বীকৃত তুচ্ছতায়।
দ্বিতীয় অভ্যাসটি মানুষকে ব্যক্তিগত গোপনীয়তাসহ
বের করে এনেছে খোলা মাঠে।
এখন তাই স্ত্রী তার স্বামীর সোহাগকে
বিকর্ষণ করে বিছানায়
এবং সুপারমার্কেট ও চলমান গাড়ির মধ্যে
আকর্ষণ করে তার চুম্বন।
মানুষ হয়ে গেছে একটা প্রাইভেট কার
সারাংশধর্মী আকাঙ্খা যার চালক
এবং এক পরিবার দুঃখ যার যাত্রীদল।
প্রভু আমার!আমি যেন সময়ের ধারণার মধ্যে আটকে না যাই--
বিশষত আমার আনন্দ ও দুঃখের অনুভবের ক্ষেত্রে।
তুমি যে আমার হৃদয়ে এই প্রজ্ঞা ঢেলে যাও যে
গাদা-গাদা চোখের সামনে আনন্দ অনুসন্ধান
সব দুঃখ-কষ্টকে ব্যক্তিগত করে দেবে মনের গভীরে।
আনন্দ,সুখ,এবং প্রশান্তির মধ্যকার পার্থক্যকে
আমি যেন সহজে বুঝতে পারি।
ব্যক্তিগত দুঃখ সামগ্রিক প্রশান্তিকে ধ্বংস করে--
এবং আনন্দের মুহূর্তে মুখটাকে কুত্‍সিতও দেখাতে পারে--
এই মহাসত্য যেন আমি ভুলে না যাই।

সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০১১

সুখের গতিবেগ(এস.এম.জাকির হুসাইন)

আমার জন্মের পর থেকে
অনেক বদলে গেছে পৃথিবীটা
কিন্তু একথা নিশ্চিত সত্য যে
আমার মৃত্যুতে শুধু আজ নয় অনন্তকালেও
এক বিন্দু ক্ষতি হবে না পৃথিবীর।
গার্লফ্রেন্ডের সাথে সংক্ষেপে খেলা করতে করতে
এক চড়ুই পাখি আমাকে ব্যাক্তিগত ভঙ্গিতে বলেছিল :
অনেক আগেই সুখী হতে শেখা উচিত্‍ ছিল তোমার।
সময় যখন খারাপ হয় তখন চড়ুই পাখিও সত্য কথা বলে।
উচ্চ প্রযুক্তির জীবন আমাকে আজো শেখাতে পারেনি
উচ্চগতিসম্পন্ন সুখের কোনো রহস্য।
এক হোটেল বলনাচের কক্ষে অহিংস যৌনতায় সুখী হতে হতে--
কিছু লোক চেয়েছিল একটা বিখ্যাত উদাহরণ সৃষ্টি করতে--
এবং হারিয়ে ফেলেছিল আকাশ।
তারা তখনও সুখী হতে পারে যখন তারা ক্লান্ত।
তারা যখন সুখী হয় তখন তাদের অন্ধ হতে আপত্তি নেই।
জ্ঞানের ভাণ্ডারে কম পরলে--
আমার চোখ দিগন্তকে সাফ ক'রে ফেলে
মৃত্যুর খোঁজে।
মৃত্যুর ঘটনাটা কখনও দেরিতে ঘটে না।
হে প্রভু!আমাকে তুমি এমন মুহূর্তে মৃত্যু দাও
যখন চড়ুই পাখির কাছ থেকে আমার শেখা হয়েছে অনেক কিছুই
এবং নির্ধারিত তীরের মতো অত্যন্ত দ্রুত ছুটে যায় যে মুহূর্তগুলো
তখনও যেন আমি বেঁচে থাকি প্রজ্ঞার সাথে।

Facebook of this writer:http://www.facebook.com/smzhussains

পূর্ণাঙ্গ গ্রহণ(এস.এম.জাকির হুসাইন)

আমি তোমার দরবারে হাত পাতিনি,প্রভু
মাথা পেতেছি।
তুমি যা দেবে,নেব।
এবং যা-না দেবে,তাও নেব।
শুধু হাত পেতে এভাবে দু'তরফা নেয়া সম্ভব নয়।
আগে ভাবতাম কেবল দেয়ার মালিক তুমি।
কিন্তু এখন জানি না-দেয়ার মালিকও তুমি।
কারণ সম্পদ এবং দারিদ্র্য উভয়ের মালিক কেবল তুমিই।
না-দেয়ারও যে মালিক থাকে--
যারা কেবল হাত পেতে চায় তারা তা বুঝতে পারে না।
অবশ্য আমি যদি কখনও হাত পাতি
তোমার দরবারে--
তাহলে জেনে রাখ--মাত্র দুই হাতে আমার পোষায় না।
আমার রয়েছে লক্ষ-কোটি শূন্য হাত।
পাতলে সবগুলোই একসাথে পাতব।
তুমি আমার লক্ষ-কোটি হাতের দিকে তাকাও।
তোমার সদয় দৃষ্টিতে আমার হাতগুলো ভ'রে যাক।
একশ'টা হাত খুশি হলে--
পঞ্চাশটা মুখ তোমার প্রশংসাগীত গাবে।
হে প্রভু!আমি যখন চাই
তখন যেন একার জন্য না চাই।
এবং আমি যা পেয়েছি এবং পাব
তা যেন শুধু আমার নিজের জন্য না হয়।
এবং যা আমি চেয়েও পাব না
তা যেন আমি ভুলে যাই
কিংবা অপরকে দিয়ে দেবার জন্য চাই।

প্রার্থনা(সংগৃহীত)

(প্রভাতিক)
হে আল্লাহ্!
বুদ্ধি দাও,শান্তি দাও,অনুভূতি দাও,কল্পনা দাও।
সৃষ্টিপথের মর্মকোষের মধুপানের ক্ষমতা দাও।
জীবনকে আনন্দিত করো,সার্থক করো,উজ্জল করো।
উদ্যেগী করো,প্রাণবান করো, নিষ্ঠাবান করো।
অন্তরে নিয়ত শিখার মত জ্বলো--
বিবেক রূপে,বিচারবুদ্ধি রূপে।
আমার প্রার্থনা খাঁটি করো,খাঁটি করো,খাঁটি করো!
(সান্ধ্য)
হে আল্লাহ্!
জীবনকে পবিত্র করো,শান্ত করো,স্নিগ্ধ করো।
অবসাদ দূর করো,অবসাদ দূর করো,অবসাদ দূর করো।
ইতর লোভের নাগপাশ থেকে মুক্তি দাও।
পদ্দের মতো পঙ্কিলতার উর্দ্ধে ওঠার শক্তি দাও।
আনন্দ গ্রহণের ক্ষমতা দাও,আনন্দ দানের ক্ষমতা দাও।
ফুলের মত ফুটে ওঠার ক্ষমতা দাও।
আমার প্রার্থনা খাঁটি করো, খাঁটি করো,খাঁটি করো ।।

সোমবার, ১ আগস্ট, ২০১১

PRAYER FOR DESTRUCTION(S M Zakir Hussain)



Before I commit the next major sin,
My Lord,
Kill me
With your own Right Hand.
Do not give me so much freedom
that can enable me to set my back to You.
And so before my next suicide,
My Lord,
Kill me with your own Right Hand.
Bind me, O Lord, with the rope
Of Your Grace
And let it not be long enough
So as to allow me to go too far away
From your Right Hand.
And make my feet too short
Ta able to speed away from you
At an accelerated pace.
And kill me if I love a journey too far away
If, however, You show enough kindness
To let me taste another major sin
My Lord,
Then never let me die
Until You`ve completely forgiven me.
Surely the taste of sin
Is not sweeter
Than the taste of your grace.
PRAYER FOR DESTRUCTION
Before I commit the next major sin,
My Lord,
Kill me
With your own Right Hand.
Do not give me so much freedom
that can enable me to set my back to You.
And so before my next suicide,
My Lord,
Kill me with your own Right Hand.
Bind me, O Lord, with the rope
Of Your Grace
And let it not be long enough
So as to allow me to go too far away
From your Right Hand.
And make my feet too short
Ta able to speed away from you
At an accelerated pace.
And kill me if I love a journey too far away
If, however, You show enough kindness
To let me taste another major sin
My Lord,
Then never let me die
Until You`ve completely forgiven me.
Surely the taste of sin
Is not sweeter
Than the taste of your grace.
From
Destructive Meditation
S M Zakir Hussain
(compose by kamal hossain)

মৃত্যুর বাজার মূল্য :: The Market Price of Death(এস.এম. জাকির হুসাইন)



মানুষকে দেবার মত
একটাই জিনিস আছে মানুষের কাছে- মৃত্যু।
যদিও মৃত্যুই একমাত্র জিনিস
যা কেউ নিতে চায় না
তবুও একথা গোপন সত্য যে
মৃত্যু ছাড়া মানুষকে দেবার মত
মানুষের কাছে কিছু নেই।
আর এ কারণেই-
বিজয়ী পরাজিতকে দেয় মৃত্যু
এবং পরাজিত দেয় শাহাদাত।
এক জাতি অন্য জাতিকে
এক গোত্র অন্য গোত্রকে
এক দল অন্য দলকে
এক দেশ অন্য দেশকে
এক ধর্ম অন্য ধর্মকে
কি দিচ্ছে- মৃত্যু ছাড়া?
মানুষ মৃত্যুর খেলায় মত্ত
কারণ মৃত্যুর সুরা পান ক’রে
অবিরত নেশাপ্লুত সে।
মানুষের তীব্র আকাঙ্খা
তার জন্য মৃত্যু বয়ে আনে।
মানুষের নিদারুন দারিদ্র
তার জন্য মৃত্যু বয়ে আনে।
মানুষের বড় বড় ভুল
তার জন্য মৃত্যুকে ডেকে আনে।
মানুষের তীব্র ক্রোধ
---কিংবা হিংসা
---কিংবা লোভ
---কিংবা অহংকার
তার কাছে ফিরে আসে মৃত্যু হয়ে।
মানুষ এ বিশাল পৃথিবীর বিস্তির্ণ ভূমিতে
মৃত্যুর আবাদ করছে শুধু।
মৃত্যু ছাড়া তার কিছুই দেবার নেই
পাবারও নেই।
হয় মৃত্যু মানুষকে খোজে
না হয় মানুষই মৃত্যুকে খোজে নেয়।
ভোগ মানুষকে মৃত্যু দেয়।
ভোগের মাধ্যমে প্রথম মৃত্যু হয়
ভোগের ইচ্ছার
এবং তা না হলে
মৃত্যু হয় ভোগের যোগ্যতার।
ভোগের বিনিময়ে মানুষ কুড়ায় ব্যাধি।
ব্যাধির পরিণতি নিশ্চিত মৃত্যু।
মানুষের অমোঘ নিয়তি এই যে
হয় সে মৃত্যু বিক্রি করবে
না হয় মৃত্যু কিনবে।
অন্য কোন ব্যবসা মানুষের পক্ষে
আদৌ সম্ভব নয়।
প্রেমের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে মৃত্যু জড়িত
প্রেমের মরা জলে না ডুবলেও
যে প্রেম করে সে মরবেই।
কারণ না মরতে পারলে
প্রেমই হয় না।
মানুষ সুখের মরণ চায়-
যদিও মরণের সুখ সব মরণে নেই।
প্রেমের ব্যর্থতার সাথে মৃত্যু
আবশ্যিকভাবে জড়িত।
আর এ কারণে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে
আত্মহত্যা করে কেউ কেউ।
নইলে অবশ্য প্রেমই তাকে হত্যা করত।
প্রেমের অযোগ্যতার ফলও মৃত্যু...
যে প্রেম করতে জানেনা
কেবল সে-ই প্রেমানুভুতির বিকৃতি দ্বারা তাড়িত হয়ে
ধর্ষণ করে-
এবং এভাবে মৃত্যু হয় সতিত্বের
এবং সততার
এবং পরিত্রতার
কিংবা ধর্ষণের পরও ধর্ষপ্রেমিক হত্যা করে ধর্ষিতাকে।
মৃত্যু হয়-
প্রেমিকের নয়-
প্রেমিকার নয়-
প্রেমের।
মৃত্যুর কবল থেকে রেহায় নেই।
কারণ মৃত্যুর কোনো বিকল্প নেই।
মানুষের ভাগ্য এমনই যে
মৃত্যুকে এড়াবার বাসনা তার সভাবজাত।
অথচ প্রকৃত মানুষ হয়ে উঠার জন্য তার যা প্রয়োজন
তা রয়েছে
মৃত্যুরই মধ্যে।
অথচ ভুল হাতে মৃত্যু দিলে
সঠিক বিনিময় পাওয়া যায় না।
সঠিক উপায়ে মৃত্যু দিতে না পারলে ব্যর্থ হয় জীবন।
কাক- ডাকা ভোরে
চুপিসারে এ কাকই
বাসি হবার আগে
দিবসের প্রথম মৃত্যুকে
কুড়িয়ে নিতে না পারলে
এই জীবনে
সফলতার মালা গাঁথা সম্ভব নয়।
******************************
-অসুস্থতার আনন্দ-
The Pleasure of Illness
***** বাই এস.এম. জাকির হুসাইন।
(compose by kamal hossain)

আত্ম-প্রবঞ্চনা(জামান দিপু)

আমরা মাঝে মাঝে অনেক সূক্ষ্ম বিষয়ের অনুভূতিকে উপলব্দি না করিয়াই এমন ভাব ধরিয়া থাকি যেন আত্ম-উপলব্দি লাভ করিয়াছি।এই আত্ম-উপলব্দিকে আমি বলবো আত্ম-প্রবঞ্চনা ছাড়া আর কিছু না।আত্ম-প্রবঞ্চনা আত্মকে ধ্বংসই করে।

অসম বিপরীত সমীকরন(জামান দিপু)

উত্তর=দক্ষিণ

-
-
নারী=পুরুষ
-
-
বালক=বালিকা
-
-
সতীত্ব=?

মানুষের গান(খালিল জিবরান)

আমি এখানে ছিলাম সেই প্রারম্ভের মুহূর্ত থেকে
এবং এখানে আমি ছিলাম স্থির এবং
আমি এখানে থাকব পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত,
কারণ আমার মর্মবেদনার পীড়িত সত্ত্বার ভেতরে
সমাপ্তি বলে কিছু নেই।
আমি অসীম আকাশের যত্রতত্র ঘুরে বেড়াই
এবং আদর্শ পৃথিবীর অনেক উঁচুতে উড়তে পারি,
মহাকাশের ভেতর দিয়ে ভেসে বেড়াই,কিন্তু
এখানে আমি পরিমাপের কাছে বন্দি।
আমি কনফুসিয়াসের শিক্ষা সম্পর্কে শুনেছি,
মনোযোগ দিয়ে শুনেছি ব্রহ্মার বিচক্ষণতা,
আমি জ্ঞানের বৃক্ষতলে বুদ্ধের পাশে বসেছিলাম।
যদিও আমি এখানে বিরুদ্ধ বিশ্বাস ও অজ্ঞতার
সঙ্গে অস্তিত্ব রক্ষা করছি।
আমি সিনাইতে ছিলাম যখন জিহোভা মুসাকে
প্রস্তাব দিয়েছিল।
আমি জর্দানে দেখেছিলাম নাজারেতবাসীদের
অলৌকিকতা।
মোহাম্মদ(সা.)যখন মদিনা পরিদর্শন করেন
তখন আমি সেখানে ছিলাম
যদিও আমি এখানে বিভ্রান্তির বন্দি হয়ে আছি।
তারপর আমি প্রত্যক্ষদর্শী হয়েছিলাম ব্যাবিলনের
পরাক্রমশালীদের।
জেনেছিলাম মিশরের মহিমা।
আমি জেনেছিলাম যুদ্ধকালে রোমের বিশিষ্ট ক্ষমতা
যদিও আমার প্রাথমিক শিক্ষা প্রদর্শন করেছিল
ওইসব সাফল্যের বেদনা ও দুর্বলতা।
আইন দৌড়-এর জাদুকরদের সঙ্গে আমি কথা বলেছিলাম।
ওসিরীয় যাজকদের সঙ্গে আমি জড়িয়ে পড়েছিলাম বিতর্কে,
আমি প্যালেস্টাইনের নবীদের গভীর থেকে টুকরো টুকরো
তথ্য সংগ্রহ করেছিলাম,
যদিও আমি এখনও পর্যন্ত অনুসন্ধান করছি সত্য।
আমি সম্পূর্ণ ভারত থেকে জড়ো করেছিলাম বিচক্ষণতা,
আমি অনুসন্ধান করেছিলাম আরবের মহত্‍ যুগের
যা শোনা যায় তার সবই আমি শুনেছিলাম,
যদিও,আমার হৃদয় অন্ধ ও বধির।
আমি কষ্ট পেয়েছি অপ্রকৃস্থ হামলাকারীদের দাসত্বের বন্ধনে,
আমি কষ্ট পেয়েছি নিপীড়নের মাধ্যমে আরোপিত ক্ষুধায়।
যদিও এখনও পর্যন্ত আমার কিছু অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা রয়েছে
যার সঙ্গে আমি সংগ্রাম করি প্রতিটি
দিনকে সম্ভাষণ জানাতে।
আমার মন পরিপূর্ণ কিন্তু আমার হৃদয় শূন্যতায় ভরে আছে,
আমার শরীর বৃদ্ধ কিন্তু আমার হৃদয় হচ্ছে নবজাতক।
সম্ভবত যৌবনে আমার হৃদয় বেড়ে উঠবে কিন্তু
আমি প্রার্থনা করি বৃদ্ধ হতে এবং পৌছে যেতে চাই
ঈশ্বরের কাছে আমার প্রত্যাবর্তনের মুহূর্তে।
শুধুমাত্র তখনই আমার হৃদয় পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে।
এখানে আমি ছিলাম সেই প্রারম্ভের মুহূর্ত থেকে
এবং এখানে আমি ছিলাম স্থির এবং
আমি এখানে থাকব পৃথিবীর শেষ পর্যন্ত,
কারণ আমার মর্মবেদনার পীড়িত সত্ত্বার ভেতরে
সমাপ্তি বলে কিছু নেই।

চিরস্থায়ী বৈশাখী শুভেচ্ছা(জামান দিপু)

নববর্ষ বলে পান্তা-ইঁলিশ খেতে হবে এমন কোনো কথা নেই।চা-বিস্কুট খারাপ না।ইঁলিশ মাছে এলার্জি আর পান্তাভাতে খালের পানি ঐ রমনার বটমূলে।রমনার বটমূলে যেতেই হবে এমন কোনো কথা নেই।বুড়িগঙ্গার পাড়ে যাওয়া যায়।সেখানে দেখুন কি কালো পানি।এবার ভাবুন কিভাবে এই পানি ফর্সা করা যায়।কিছু না করতে পারলেও অন্তত এক প্যাকেট ফেয়ার অ্যাণ্ড লাভলী পানিতে মেশাতে পারেন।তারপর ভাবুন "আহ্!দেশটার জন্য কিছু করলাম।"এভাবে একদিন আপনি হয়ে উঠবেন সেরা দেশপ্রেমিক,তখন দেশ-ই আপনাকে বলবে শুভ must হবে নববর্ষ।আর কতো লেকচার দিমু।নববর্ষ হোক শুভ।

তুমি আসবে বলে(গান)(নচিকেতা)

তুমি আসবে বলেই আকাশ মেঘলা,বৃষ্টি এখনো হয়নি।
তুমি আসবে বলেই কৃষ্ণচূড়ার ফুলগুলো ঝড়ে যায়নি।
তুমি আসবে বলেই অন্ধকানাই বসে আছে গান গায়নি।
তুমি আসবে বলেই চৌরাস্তার পুলিশটা ঘুষ খায়নি।
তুমি আসবে বলেই জাকির হোসেন ভুল করে ফেলে তালে,
তুমি আসবে বলেই মূখ্যমন্ত্রী চুমু খেলো স্ত্রীর গালে।
তুমি আসবে বলেই সোনালী স্বপ্ন ভীড় করে আসে চোখে,
তুমি আসবে বলেই আগামী বলছে দেখতে আসবে তোকে।
তুমি আসবে বলেই আমার দ্বীধারা উত্তর খুঁজে পায়নি,
তুমি আসবে বলেই দেশটা এখনো গুজরাট হয়ে যায়নি।
তুমি আসবে বলেই সন্ত্রাসবাদ গুটিয়ে নিয়েছে থাবা,
তুমি আসবে বলেই জ্যোতিষ ছেড়েছে কতো না ভণ্ডবাবা।
তুমি আসবে বলেই পাড়ার মেয়েরা মুখ করে আছে ভার,
তুমি আসবে বলেই ঈষাণ কোনেতে জমেছে অন্ধকার।
তুমি আসবে বলেই বখাটে ছেলেটা শীশ্ দিতে দিতে দেয়নি,
তুমি আসবে বলেই আমার কলম এখনো বিক্রি হয়নি।

 সবার কাছে একটাই প্রশ্ন, তুমিটা কে?