পৃষ্ঠাসমূহ

শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১১

খোঁপার মত ফুলদানি আর নেই(এস. এম. জাকির হুসাইন)

খোঁপাটাকে এগিয়ে দাও                 এই নাও

            কী দেব যে?
ইচ্ছে করে দাঁড়িয়ে থাকি আঙুল গুঁজে।

           আবার ভাবি--তাও কি হয়?
           খোঁপার জন্য আঙুল তো নয়,
                                     ফুল,
তবু কেন হঠাত্‍ তুমি এলিয়ে দিয়ে চুল
          খোঁপাটাকে দিলে খুলে?
এই দেখ এক ফুল রয়েছে আমার এ আঙুলে
          তোমার খোঁপায় পরিয়ে দিতাম যেই,
বুঝিয়ে দিতাম খোঁপার মত ফুলদানি আর নেই।

"কল্পকণা"(রোহেল পাবলিকেশন্স,৩৮/২ ক,বাংলাবাজার,ঢাকা)

বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১১

বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০১১

শোষণ(এস. এম. জাকির হুসাইন)

মুমূর্ষ মাছির পিছে একলাখ পিপঁড়ের ঝাঁক
গিঁটেল সুতোর মতো আঁকা-বাঁকা দীর্ঘকায় সারি
বড় আগ্রহ দেখাতে পারে ওরা
যখন শিকার পায় সামনে
এবং নিজেরাও থাকে দলবদ্ধ ঐক্যের শিকলে!

অতি নিকট থেকে দেখলাম
একটা ডানায় ডিগবাজি খেতে খেতে খেতে
শিকারীর পদানত হচ্ছিল বারবার
হতভাগ্য সেই মাছিটা
তার পিঠের ওপর একঝাঁক,ডগায়,প্রায়-পঙ্গু ঠ্যাঙে
এবং মগজে তিনশো ক'রে শিকারী
শিথিল চোখের মধ্যেও ঢুকে পড়ে মারাঠী দস্যুর মতো

একটু পরেই ও হারাবে ওর বাকি গতিটুকু
তারপর দশটি শিকলে-বাঁধা হয়ে কাঠের গুড়ির মতো
গড়াতে গড়াতে যাবে পাশের ঝোপটার দিকে
যেটুকু এখনও হয়নি শেষ
সেটুকু গর্তে নিয়ে চোলাই ক'রে খাবে
পিঁপড়ের সেই র্দুবৃত্ত শিকারীর দল-

দূর থেকে ওদের পিছনে পিছনে ছুটব
ভালো ক'রে খুঁজে দেখবো গর্তটা কোথায়!!

প্রভাতী(কাজী নজরুল ইসলাম)

ভোর হলো
দোর খোলো
           খুকুমণি ওঠ রে!
ঐ ডাকে
জুঁই শাখে
           ফুল-খুকী ছোট রে!
            খুকুমণি ওঠ রে!
রবি মামা
দেয় হামা
           গায়ে রাঙা জামা ঐ,
দারোয়ান
গায় গান
           শোনো ঐ,'রামা হৈ!'
ত্যজি নীড়
ক'রে ভীড়
            ওড়ে পাখী আকাশে,
এন্তার
গান তার
           ভাসে ভোর বাতাসে!
চুলবুল
বুলবুল
           শীস্ দেয় পুষ্পে,
এইবার
এইবার
           খুকুমণি উঠবে!
খুলি' হাল
তুলি' পাল
           ঐ তরী চ'ললো
এইবার
এইবার
           খুকু চোখ খুললো ?
আলসে
নয় সে
           ওঠে রোজ সকালে,
রোজ তাই
চাঁদা ভাই
           টিপ দেয় কপালে।
উঠ্ল
ছুটল
           ঐ খোকাখুকী সব,
'উঠেছে
আগে কে'
           ঐ শোনো কলরব।
নাই রাত
মুখ হাত
           ধোও,খুকু জাগো রে!
জয় গানে
ভগবানে
           তুষি' বর মাগো রে!